Jump to content

Wn/bn/যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যু পরোয়ানা

From Wikimedia Incubator
< Wn | bn
Wn > bn > যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যু পরোয়ানা

সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০১৩

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
সম্পর্কিত শিরোনামগুলো
অংশগ্রহণ
ভূমিকা  •  সংবাদকক্ষ  •  নিবন্ধ সৃষ্টিকরণ
বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকার্য এই পুরাতন হাইকোর্ট ভবনেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যু পরোয়ানা জাড়ি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মৃত্যুপরোয়ানা কারা কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ঠ সকল স্থানে পাঠানো হয়েছে। এদিকে, কাদের মোল্লার ফাঁসিকে ষরযন্ত্রমূলক উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী অন্যদিকে গণজাগরণ মঞ্চ এই পরোয়ানায় উল্লাস প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এই নেতাকে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে হবে, রাষ্ট্রপতি ক্ষমা না করলে যে কোনদিন ফাঁসির রায় কার্যকর করা হবে মিরপুরের কসাই নামে খ্যাত আব্দুল কাদের মোল্লার জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ঠরা। এদিকে কাদের মোল্লার মৃত্যুপরোয়ানা জাড়ির বিরোদ্ধে আইনি নোটিশ জাড়ি করেছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। নোটিসে বলা হয়, “ক্রটিপূর্ণ পরোয়ানার ভিত্তিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে অগ্রসর না হতে অনুরোধ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে রায় পুনর্বিবেচনায় আমাদের মক্কেলের আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পরবর্তী কোনো পদক্ষেপ না নিতেও আনুরোধ করা হচ্ছে, যে আবেদনের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে তিনি শুরু করেছেন।” ব্যরিস্টার রাজ্জাক বলেন, “জেল কোডে যে আদালত মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে সেই আদালতকে মুত্যু পরোয়ানা দেয়ার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। তাই এ পরোয়ানার ভিত্তিতে দণ্ড কার্যকর করা যাবে না।”

উল্লেখ্য, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, কাদের মোল্লাকে মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধের জন্য আনীত ছয়টি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটিতে দোষী সাবস্থ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার স্বাধীনতা বিরোধী বাহিনী আল বদরের সদস্য মোল্লাকে ৩৪৪ জন নিরীহ ব্যাক্তি হত্যা ও অনান্য অপরাধের জন্য দোষী সাবস্থ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এই রায়ের প্রতিক্রিয়া হিসেবে বিপুল সংখ্যক মানুষ ঢাকার শাহবাগে জড়ো হতে শুরু করে। আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে রায়ের বিরোদ্ধে আপিলের সুযোগ রেখে ১৭ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) সংশোধন বিল, ২০১৩ জাতীয় সংসদে পাস হয়। ৩রা মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ তার সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন করে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করে এবং ৪ঠা মার্চ কাদের মোল্লার পক্ষ থেকে রায়ের বিরোদ্ধে তাকে খালাস দেওয়ার জন্য আপিল করা হয়। ১লা এপ্রিল আপিলের শুনানি শুরু হয় এবং শুনানি শেষে ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সালে সর্বোচ্চ আদালত মানবতাবিরোধী অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় যাবজ্জীবন করাদন্ডের পরিবর্তে মৃত্যুদন্ডাদেশের নির্দেশ দেন।


উৎস

[edit | edit source]