Jump to content

Wn/bn/মধ্যরাতের পর কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের ঘোষণা

From Wikimedia Incubator
< Wn | bn
Wn > bn > মধ্যরাতের পর কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের ঘোষণা

মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৩

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
সম্পর্কিত শিরোনামগুলো
অংশগ্রহণ
ভূমিকা  •  সংবাদকক্ষ  •  নিবন্ধ সৃষ্টিকরণ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মানবতা-বিরোধী অপরাধে ফাঁসির দন্ডাদেশপ্রাপ্ত আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি ১০ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা ১ মিনিটে কর্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু ও আইনপ্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

অইনপ্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে ফাঁসি মওকুফের আবেদন করা গেলেও কাদের মোল্লা প্রাণভিক্ষা চাইতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এদিকে, কারা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে তার পরিবারকে ১০ই ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাত ৮টার মধ্যে কাদের মোল্লার সাথে দেখা করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। আব্দুল কাদের মোল্লার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক ও পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন আইন না মেনে তরিঘরি করে কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, কাদের মোল্লাকে মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধের জন্য আনীত ছয়টি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটিতে দোষী সাবস্থ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়কার স্বাধীনতা বিরোধী বাহিনী আল বদরের সদস্য মোল্লাকে ৩৪৪ জন নিরীহ ব্যাক্তি হত্যা ও অনান্য অপরাধের জন্য দোষী সাবস্থ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এই রায়ের প্রতিক্রিয়া হিসেবে বিপুল সংখ্যক মানুষ ঢাকার শাহবাগে জড়ো হতে শুরু করে। আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে রায়ের বিরোদ্ধে আপিলের সুযোগ রেখে ১৭ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) সংশোধন বিল, ২০১৩ জাতীয় সংসদে পাস হয়। ৩রা মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ তার সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন করে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করে এবং ৪ঠা মার্চ কাদের মোল্লার পক্ষ থেকে রায়ের বিরোদ্ধে তাকে খালাস দেওয়ার জন্য আপিল করা হয়। ১লা এপ্রিল আপিলের শুনানি শুরু হয় এবং শুনানি শেষে ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সালে সর্বোচ্চ আদালত মানবতাবিরোধী অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় যাবজ্জীবন করাদন্ডের পরিবর্তে মৃত্যুদন্ডাদেশের নির্দেশ দেন।


আরও পড়ুন

[edit | edit source]

উৎস

[edit | edit source]