Wn/bn/যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন: কমালা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প মুখোমুখি
শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
সম্পর্কিত শিরোনামগুলো | |
---|---|
| |
অংশগ্রহণ | |
২০২৪ সালের মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আগামী মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমেই যুক্তরাষ্ট্রবাসী তাদের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি এবং উপ-রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত করবেন। একইসাথে যুক্তরাষ্ট্রের সংসদের (কংগ্রেস) সদস্যরাও নির্বাচিত হবেন। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ (হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস)-এর ৪৩৫টি আসন এবং উচ্চকক্ষ (সিনেট)-এর ১০০টি আসনের মধ্যে ৩৪টি আসন এই নির্বাচনের মাধ্যমে পূর্ণ করা হবে। এই নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক দলের বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান দলের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প মুখোমুখি হয়েছেন।
বর্তমান জরিপগুলোতে দেখা যাচ্ছে যে নির্বাচনটি খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, এবং নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে পর্যন্ত পরিষ্কার বিজয়ী নেই। দুই প্রার্থীই গুরুত্বপূর্ণ "সুইং স্টেট" যেমন উইসকনসিন এবং নর্থ ক্যারোলিনাতে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। "সুইং স্টেট" বা দোদুল্যমান রাজ্যগুলো হলো এমন কয়েকটি রাজ্য, যেগুলোর ভোটাররা নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি স্থির নয় এবং প্রতি নির্বাচনে এক দল থেকে অন্য দলে সমর্থন দিতে পারেন, ফলে এই রাজ্যগুলো নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
হ্যারিস তার প্রচারণাকে "স্বাধীনতা বনাম বিশৃঙ্খলার" মধ্যে একটি পছন্দ হিসেবে উপস্থাপন করছেন এবং মূলত স্বাধীনতা ও ভবিষ্যতের আদর্শকে কেন্দ্র করে প্রচার চালাচ্ছেন। অন্যদিকে, ট্রাম্প ২০২৪ সালের নির্বাচনকে "চূড়ান্ত যুদ্ধ" বলে বর্ণনা করেছেন এবং রাষ্ট্রপতি পদ পাওয়ার পর রাজনৈতিক প্রতিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যদিও তিনি বলছেন তার প্রতিশোধ হবে "সাফল্য"। ট্রাম্পের প্রচারের প্রধান বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে অভিবাসন।
গর্ভপাতের অধিকারও এই বছরের নির্বাচনের বড় একটি বিষয়, কারণ এটি প্রথম নির্বাচন যেখানে ২০২২ সালের "ডবস বনাম জ্যাকসন উইমেনস হেলথ অর্গানাইজেশন" মামলার পর গর্ভপাতের অধিকার নিয়ে ভোট হচ্ছে। এই মামলার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট গর্ভপাতের অধিকার নির্ধারণের ক্ষমতা পুরোপুরি রাজ্যগুলোর হাতে ছেড়ে দেয়, যার ফলে কিছু রাজ্যে গর্ভপাত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এই বছর প্রি-ভোটিং বা আগাম ভোটিং রেকর্ড সংখ্যায় পৌঁছেছে, যেখানে ৬২.৭ মিলিয়নেরও বেশি আমেরিকান আগে থেকেই তাদের ভোট দিয়েছেন। এই আগাম ভোটগুলোর মধ্যে রয়েছে উভয় সরাসরি এবং মেইলের মাধমে ভোট, যা ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান ভোটারদের উভয়েরই উচ্চ আগ্রহ প্রদর্শন করে। পেনসিলভানিয়া, জর্জিয়া, মিশিগান, অ্যারিজোনা, উইসকনসিন এবং নেভাদার মতো মূল রাজ্যগুলো চূড়ান্ত ফলাফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উৎস
[edit | edit source]- "আগাম ভোটে স্বস্তিতে কমলা" — প্রথম আলো, ১ নভেম্বর, ২০২৪
- ডয়চে ভেলে। "যুক্তরাষ্ট্রে ‘আর্লি ভোট’ দিলেন ৬ কোটির বেশি ভোটার" — দৈনিক ইত্তেফাক, ১ নভেম্বর, ২০২৪
- "US election: 5 days left – What polls say, what Harris and Trump are up to" — আল জাজিরা, ৩১ অক্টোবর, ২০২৪ (ইংরেজি)
- "What would Harris and Trump do in power?" — বিবিসি, ২ নভেম্বর, ২০২৪ (ইংরেজি)