Wn/bn/মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান

From Wikimedia Incubator
< Wn‎ | bn
Wn > bn > মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান
নিরীক্ষণের জন্য অপেক্ষমান!  এই নিবন্ধটি ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ অনুযায়ী নিরীক্ষণ বা পর্যালোচনা করা হয়নি। এখানে প্রদর্শিত তথ্যগুলোর পুনঃমূল্যায়ন করুন। (আরও জানুনশোধন)

মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী গতকাল সকালে অং সান সু চি এবং অন্য রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার করার পরে দেশটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। একই সাথে দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। গত বছরের ৮ই নভেম্বরে হওয়া নির্বাচন নিয়ে সামরিক-বেসামরিক বাহিনীর মাঝে দ্বান্দের পরে এই অভ্যুত্থান ঘটলো। উক্ত নির্বাচনে নির্বাচনে অং সান সুচির এনএলডি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু সেনাবাহিনী নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তোলে।

অভ্যুত্থানের পর সমগ্র মিয়ানমারে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে এবং রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে। রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত চলবে কারফিউ।

সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) মুখপাত্র মিও নয়েন্ট জানান, প্রেসিডেন্ট মিন্ট এবং অন্যান্য নেতাদের ভোরে আটক করা হয়। সৈন্যরা দেশের বিভিন্ন প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে তাদের আটক করে নিয়ে যায় বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।

সেনাবাহিনীর টেলিভিশন মিয়াওয়াদির ঘোষণায় বলা হয়, গত নির্বাচনে 'জালিয়াতি'র ঘটনায় সরকারের জ্যেষ্ঠ নেতাদের আটক করা হয়েছে। জরুরি অবস্থা জারি করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সেনাবাহিনীর সিনিয়র জেনারেল মিং অং হ্লাইংয়ের হাতে। দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট মিয়ান্ত সোয়ে রাষ্ট্রের প্রধান তিনটি অঙ্গ আইনসভা, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের ক্ষমতা সেনাপ্রধানের কাছে হস্তান্তর করেছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স এবং বিবিসি বার্মিজ বিভাগের সূত্রে জানা গেছে, সুচি সরকারের ২৪ জন মন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই সাথে নতুন ১১ জন মন্ত্রী নিয়োগ করা হয়েছে । নুতন মন্ত্রীদের অধিকাংশই সিনিয়র সেনা কর্মকর্তা। কয়েকজন রয়েছেন সেনা সমর্থিত দল ইউএসডিপির সদস্য। ইউএসপিডির অন্যতম নেতা উনা মং লউনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়াও সামরিক বাহিনী থেকে জানা গেছে সামরিক বাহিনী তারা দেশটির ক্ষমতা কমান্ডার-ইন-চিফ মিন অং লাইংয়ের কাছে হস্তান্তর করছে।

এখন দেশটির রাজধানী নেপিডো এবং প্রধান শহর ইয়াঙ্গনের রাস্তায় সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে। প্রধান প্রধান শহরগুলোতে মোবাইল ইন্টারনেট এবং কিছু টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম এমআরটিভি জানিয়েছে যে তারা কিছু কারিগরি সমস্যার মুখে পড়েছে এবং তাদের সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে।

উল্লেখ্য গতকাল থেকেই দেশটিতে নতুন পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেনাবাহিনী অধিবেশন স্থগিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় । বৈঠক শুরুর প্রাক্কালে তাদের গ্রেফতার করা হয়।


উৎস[edit | edit source]

  • "শক্তিশালী অবস্থানে মিয়ানমার সেনাবাহিনী" — দৈনিক ইত্তেফাক, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১


শেয়ার করুন!

ইমেইল করুন এই খবরকে

ফেসবুকে শেয়ার করুন

টেলিগ্রামে শেয়ার করুন

লিঙ্কডইনে শেয়ার করুন

টুইটারে শেয়ার করুন

শেয়ার করুন!

ইমেইল করুন এই খবরকে

ফেসবুকে শেয়ার করুন

টেলিগ্রামে শেয়ার করুন

লিঙ্কডইনে শেয়ার করুন

টুইটারে শেয়ার করুন