Wn/bn/মাঙ্কিপক্স: বিশ্বব্যাপী জরুরী অবস্থা জারি করলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
রবিবার, ২৪ জুলাই ২০২২
মাঙ্কি পক্সকে বিশ্বব্যাপী জরুরী অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত সংস্থাটি মাত্র ৭ বার জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছে। এর মাঝে সর্বশেষ ছিলো কোভিড-১৯ মহামারী বিষয়ক সেটি এখনও জারি রয়েছে।
যখন বিশ্বের অনেক অঞ্চলে কোনো রোগ ছড়িয়ে পড়ে যেগুলো মারাত্মক, হঠাৎ ছড়িয়ে পড়া, অস্বাভাবিক, অত্যাশ্চর্যজনক এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের নজরদারি প্রয়োজন হয় তখন জরুরী অবস্থা জারি করা হয় বলে সংস্থাটর পক্ষ থেকে জানানো হয়। বর্তমানে আরও দুটি রোগের বিষয়ে এই সতর্কতা জারি হয়েছে। এদের একটি কোভিড-১৯ এবং অপরটি পোলিও।
বিশ্বব্যাপী সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় একে সর্বোচ্চ সতর্কতা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই রোগ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২য় বৈঠকে আলোচনা শেষে এ ঘোষণা আসে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস জানান এখন পর্যন্ত ৭৫টি দেশে ১৬,০০০-এরও অধিক ব্যক্তি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। এসব রোগীর মাঝে ৪১০০ জনের কিছু বেশি রোগী আক্রান্ত হয়েছেন গত সপ্তাহে। তিনি আরও জানান এখন পর্যন্ত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে পাঁচ জন মারা গিয়েছেন। ইউরোপ অঞ্চলে রোগটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। ইউরোপে সর্বমোট রোগী ১১,৮০০-এরও অধিক যাদের মাঝে ২৭০০ জনের কিছু বেশি রোগী আক্রান্ত হয়েছেন গত ৭ দিনে।
ড. টেড্রোস জানান মাঙ্কিপক্সকে জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করা হবে কিনা সে বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোনো নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে আসতে পারে নি। তবে যেহেতু ভাইরাসটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে, তাই আন্তর্জাতিকভাবে সতর্কতা জারি প্রয়োজন হয়ে পড়েছে বলে সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
ড. টেড্রোস আরও জানান রোগটি ছড়িয়ে পড়ার মাধ্যম সম্পর্কে এখনও বেশি কিছু জানা যায় নি।
বক্তব্যে তিনি বলেন যে বিশ্বের সকল অঞ্চলেই মাঙ্কপক্সের মাঝারি ঝুঁকি রয়েছে এবং ইউরোপ অঞ্চলকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আরও দেশে এই রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে জানান তিনি।
এই ঘোষণা মাঙ্কিপক্সের টিকা তৈরি প্রক্রিয়া এবং সংক্রমণ প্রতিহত করার কার্যক্রম আরও গতিশীল করবে বলে জানান তিনি। এছাড়াও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিভিন্ন দেশকে সংক্রমণ রোধ এবং যারা ঝুঁকিয়ে রয়েছেন তাদের সাহায্য করার জন্য পরামর্শ প্রদান করবে।
তিনি বলেন যে সঠিক পরিকল্পনা মোতাবের কাজ করলে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
মাঙ্কিপক্স সর্বপ্রথম ১৯৫০-এর দশকে মধ্য আফ্রিকায় আবিষ্কৃত হয়। রোগটি সাধারণত মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকায় পশুদের মাঝে দেখা যায়। অবশ্য রোগটি মানুষেও ছড়াতে পারে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যের ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
রোগটির প্রাথমিক লক্ষণ হলো জ্বর এবং চিকেনপক্সের মতো ফুসকুড়ি বা ফোঁড়া। সাম্প্রতিক সময়ে শুরুতে মুখে এবং যৌনাঙ্গে ফুসকুড়ি দেখা দিচ্ছে।
উৎস
[edit | edit source]- "Monkeypox: WHO declares highest alert over outbreak" — বিবিসি সংবাদ, ২৩ জুলাই, ২০২২
- "Monkeypox declared global health emergency by WHO as cases surge" — দ্য গার্ডিয়ান, ২৩ জুলাই, ২০২২