Jump to content

Wn/bn/পহেলা বৈশাখের দিনও চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড

From Wikimedia Incubator
< Wn | bn
Wn > bn > পহেলা বৈশাখের দিনও চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড

শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৩

শুক্রবার বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা এসে দাড়ায় ৪১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায় যে প্রতিদিনই জেলায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তীব্র তাপদাহ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকায় তাপমাত্রা কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। আজ বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে যা ৪১.৭ ডিগ্রি। বাতাসের আর্দ্রতা ১৪%। এর আগে দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা ছিল ৪০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাটকালুগঞ্জে অবস্থিত প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলতি মৌসুমে মাঝারি দাবদাহ বিরাজ করছিল। ওই দিন জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার রেকর্ড করা হয়েছে ৪১.৭ ডিগ্রি। চলতি সপ্তাহেই তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রিতে পৌঁছাতে পারে। সেই সাথে প্রচণ্ড থেকে প্রচণ্ডতর দাবদাহ দেখা দিতে পারে চুয়াডাঙ্গাতে।

একাধারে তাপমাত্রা বৃদ্ধির হয়ে যাওয়ায় হিট স্ট্রোক, হৃদরোগ, ডায়রিয়া, শিশুদের নিউমোনিয়াসহ গরমজনিত রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিনই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ৭০ থেকে ৮০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছে, যাদের মধ্যে ডায়রিয়া ও টাইফয়েড রোগীর সংখ্যা বেশি।

তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থানে আছেন পরিবারের প্রবীণ ও শিশু সদস্যরা। সদর হাসপাতাল ও জেলার তিনটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে রোগীদের ভিড় বৃদ্ধি পেয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. মাহবুবুর বলেন, গরমে শিশুদের ডায়রিয়া, টাইফয়েড, শরীরে ঘাম বসে নিউমোনিয়া, ঠান্ডা, সর্দি, কাশি, জ্বর ও প্রস্রাবে সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে। এসব রোগ নিয়েই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে তারা। শিশুকে ঘরের বাইরে বের হতে দেয়া যাবে না। টাটকা খাবার খাওয়াতে এবং ফ্যানের নিচে রাখতে হবে।


চুয়াডাঙ্গার রেলবাজারের ব্যবসায়ী সাহেল আহমেদ মন্তব্য করেছেন, সূর্যের প্রখরতায় আর পিচ ঢালা পথের উষ্ণতায় চলাচল করা খুবই কষ্টকর হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।

খেটে খাওয়া ও দিনমজুর মানুষ পেটের দায়ে ভোর হওয়ার সাথে সাথে কাজের সন্ধানে বের হয়ে পড়তে হচ্ছে। কিন্তু অনেক সময় অপেক্ষার পর কাজ না পেয়ে অনেকে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। সড়কে মানুষের উপস্থিতি না থাকায় ইজিবাইক, রিকশা, ভ্যান চলাচলও হ্রাস পেয়েছে।

ভিক্টোরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিয়াম বলেছে, আজ পহেলা বৈশাখ। বুঝতেই পারলাম না। স্কুলেও যেতে পারলাম না। বৈশাখের কোনো আনন্দও পাচ্ছি না। গরমের কারণে আমার আব্বু-আম্মু বাইরে যেতে নিষেধ করেছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তীব্র তাপদাহের কারণে বোরো ধান, আমের গুটি ঝরে শুকিয়ে যাচ্ছে। আমগাছে পানি স্প্রে এবং বোরো ধানসহ সব ধরনের সবজি ক্ষেতে প্রতিদিনই সেচ দিতে এবং সেচের পানি ধরে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্রসাহা বলেন, ‘প্রচণ্ড তাপদহের কারণে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। আমাদের কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক গরমে করণীয় বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।’



উৎস

[edit | edit source]