Wn/bn/৪০০ বছরের পুরানো গীর্জা পুনরায় জেগে উঠল
এই নিবন্ধটি শুধু একক উৎসের উপর ভিত্তি করছে। সংশ্লেষণ নিবন্ধগুলির জন্য একাধিক স্বাধীন উৎস ব্যবহার করা প্রয়োজন, কারণ তারা নিরপেক্ষভাবে সংবাদ ঘটনাগুলি নিশ্চিত করতে, নিবন্ধে প্রতিবেদনের বিস্তৃত বৈচিত্র্য আনতে এবং কপিরাইট লঙ্ঘনের সমস্যা এড়াতে সহায়তা করে। মূল প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারে। এই নিবন্ধটি উন্নত করনে সাহায্য করুন। |
এই নিবন্ধটি শুধু একক উৎসের উপর ভিত্তি করছে। সংশ্লেষণ নিবন্ধগুলির জন্য একাধিক স্বাধীন উৎস ব্যবহার করা প্রয়োজন, কারণ তারা নিরপেক্ষভাবে সংবাদ ঘটনাগুলি নিশ্চিত করতে, নিবন্ধে প্রতিবেদনের বিস্তৃত বৈচিত্র্য আনতে এবং কপিরাইট লঙ্ঘনের সমস্যা এড়াতে সহায়তা করে। মূল প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারে। এই নিবন্ধটি উন্নত করনে সাহায্য করুন। |
বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৫
এবারের গ্রীষ্মকালের গরমে নদীর পানির গভীরতা কমে যাওয়ায় আবার সলিল সমাধি থেকে জেগে উঠেছে ৪০০ বছরের প্রাচীন স্পেনীয় গির্জা। চলতি বছরের প্রবল খরার জন্য নদীর পানি ৮০ পর্যন্ত কমে গেছে। এই কারণে দক্ষিণ মেক্সিকোর চিয়াপস শহরে ১৩ বছর পর দেখা গেল এই ৪০০ বছরের পুরাতন গীর্জা। আবার দেখা যাচ্ছে তার ১০ মিটার উঁচু দেয়াল এবং লম্বায় ৬১ মিটার ও চওড়ায় ১১ মিটারের প্রার্থনাকক্ষটি। এই গীর্জা শেষবার দেখা গিয়েছিল ২০০২ সালে। সেই সময় অনেকে ছাদহীন ঐতিহাসিক সৌধটির ভেতর ঢুকতে পেরেছিলেন। এই বছর পানির স্তর যতটা কমেছে, তাতে ভেতরে ঘোরাঘুরি করতে না পারলেও নৌকো নিয়ে অনেকেই গির্জা প্রদক্ষিণ করেছেন। স্পেনীয় কনকুইস্তারদরা এই গীর্জাটি তৈরি করেছিল। ১৬ শতাব্দীর মাঝামাঝি বিখ্যাত ধর্মপ্রচারক ফ্রায়ার বার্থোলোমিউ দে লা কাসা দক্ষিণ আমেরিকার কেচালা অঞ্চলে পৌঁছান। তাঁর সঙ্গে সে দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন তার বহু অনুগামী ও প্রচারক। তাঁদের উদ্যোগেই তৈরি হয়েছিল এই সৌধ। বার্থোলোমিউ ছিলেন চিয়াপাস-এর প্রথম বিশপ। প্রাথমিকভাবে এই অঞ্চলে স্প্যানিশ ঔপনিবেশিকদের আধিপত্য বিস্তারের পরিকল্পনা তিনি সমর্থন করলেও পরবর্তীকালে দাস প্রথার বিরুদ্ধে তিনি প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। গোটা ইউরোপ-আমেরিকা জুড়ে সেই সময় দাস ব্যবসার রমরমা। স্বাভাবিক ভাবেই বার্থোলোমিউয়ের দাবি গ্রাহ্য হয়নি। শেষে স্পেনের সম্রাট পঞ্চম চার্লসের দরবারে আবেদন জানান ধর্মযাজক বার্থোলোমিউ। অবশেষে ১৫৪২ সালে আইন পাশ করে পেরুর বেশ কিছু অঞ্চলে দাসপ্রথার অবলুপ্তি ঘোষণা করে স্পেন সরকার।বাস্তুকার কার্লোস নাভার্রাতে-র মতে, ১৭৭৩ থেকে ১৭৭৬ সালের মধ্যে গ্লেগ মহামারির কারণে পরিত্যক্ত হয় বার্থোলোমিউ দে লা কাসা-র তৈরি এই গির্জা। ১৯৬৬ সালে গ্রিজালবা নদীর উপর বাঁধ তৈরি হলে জল জমে সৃষ্টি হয় এক বিশাল জলাধারের। আর সেই জলাধারের অতলে ঠাঁই হয় ৪০০ বছরের পুরনো সৌধটি।
উৎস[edit | edit source]
- "নদীর পানি কমল, জেগে উঠল ৪০০ বছরের গির্জা" — দৈনিক কালেরকন্ঠ, ১৮ অক্টোবর, ২০১৫ ২৩:৫৩:২৮