Wn/bn/ক্ষুধার বিরুদ্ধে ভারতের চলমান সংগ্রাম: বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে গুরুতরভাবে ১১১তম স্থান পেয়েছে
রবিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৩
সম্পর্কিত শিরোনামগুলো | |
---|---|
| |
অংশগ্রহণ | |
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালের বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ১২৫টি দেশের মধ্যে ভারত ১১১ তম স্থানে রয়েছে, যা ক্ষুধার একটি গুরুতর নিম্ন স্তর নির্দেশ করে। এই ক্রম ২০১৫ সাল থেকে স্থবির অগ্রগতির সাথে ক্ষুধা মোকাবেলায় ভারতের চলমান সংগ্রামকে নির্দেশ করে।
এই সূচকটি একটি ১০০-পয়েন্ট স্কেল ব্যবহার করে, যেখানে ০ কোন ক্ষুধার প্রতিনিধিত্ব করে না (অর্থাৎ ক্ষুধার হার খুবই কম), এবং ১০০ ক্ষুধার সবচেয়ে খারাপ স্তরকে নির্দেশ করে। ভারতের সূচক মান হল ২৮.৭ যা ক্ষুধার তীব্রতাকে "গুরুতর" হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করে৷ এই মানটি একটি সূত্র দ্বারা নির্ধারিত হয় যা ক্ষুধার বহুমাত্রিক প্রকৃতিকে প্রতিফলিত করার জন্য চারটি মূল সূচককে একত্রিত করে: অপুষ্টি, শিশু বিকাশ, শিশু অপচয় এবং শিশুমৃত্যুর হার।
প্রতিবেশী দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির তুলনায় ভারত পিছিয়ে রয়েছে, যেখানে পাকিস্তান ১০৩ তম, বাংলাদেশ ৪১ তম, নেপাল ৬৯ তম এবং শ্রীলঙ্কা ৬০ তম স্থানে রয়েছে। যাইহোক, ভারত সাহারার দক্ষিণ এশিয়া এবং আফ্রিকার দক্ষিণের অঞ্চলগুলির চেয়ে ভাল ক্রম অর্জন করেছিল, উভয়ই ২৭ মান অর্জন করে। উল্লেখযোগ্যভাবে, আফগানিস্তান, হাইতি এবং ১২টি উপ-সাহারান দেশগুলি ক্ষুধা সূচকে ভারতের চেয়ে নীচের অবস্থানে রয়েছে যা এই অঞ্চলে ক্ষুধা পরিস্থিতির তীব্রতার উপর জোর দেয়।
এই সূচকটি ভারতের জন্য কিছু উদ্বেগজনক পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। এটি বিশ্বের সর্বোচ্চ শিশু অপচয়ের হার ১৮.৭% যা শিশুদের মধ্যে তীব্র অপুষ্টি নির্দেশ করে। উপরন্তু, ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে রক্তাল্পতার প্রকোপ প্রায় ৫৮.১%।
যদিও ভারত ২০০০ থেকে ২০১৫ এর মধ্যে ক্ষুধা প্রকোপ কমানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে, বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ৩৮.৪ থেকে ২৯.২-এ উন্নীত হয়েছে বিগত আট বছরে। এটিও লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ যে ২০০০, ২০০৮ এবং ২০১৫ এর তথ্য গুলো ঐতিহাসিক ভাবে ভারতে ক্রমগুলো তুলনা করার জন্য শুধুই একমাত্র বৈধ তথ্য।
মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রক টানা তৃতীয় বছরে ক্ষুধা সূচকে ব্যবহৃত পদ্ধতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এটি তথ্যের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ভারতের নিজস্ব রেকর্ডের সাথে অসঙ্গতি উল্লেখ করে, বিশেষ করে শিশু অপচয় প্রবণতা সম্পর্কিত। কোভিড-১৯ মহামারী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, অর্থনৈতিক স্থবিরতা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং বিশ্বব্যাপী চলমান সংঘাত সহ বাহ্যিক সংকটের কারণেও এই সূচকের মান প্রভাবিত হয়। এই বাধা বিপদ গুলো ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বব্যাপী স্থবিরতা সৃষ্টি করেছে।
ভারতের বিশ্ব ক্ষুধা সূচক ক্রম, দেশের অভ্যন্তরে ক্ষুধা ও অপুষ্টি মোকাবেলায় ব্যাপক পদক্ষেপের জরুরি প্রয়োজনকে প্রতিফলিত করে। ক্ষুধা সূচক পরিমাপনের পদ্ধতির প্রতি সরকারের প্রতিদ্বন্দ্বিতা এই জটিল সমস্যাটিকে কার্যকরভাবে মোকাবেলায় স্বচ্ছ, নির্ভুল তথ্যের গুরুত্বের ওপর জোর দেয়।
আরও পড়ুন
[edit | edit source]
উৎস
[edit | edit source]- "ক্ষুধা সূচকে ভারত নেমে ১১১ নম্বরে, বিশ্বে শিশুদের অপুষ্টির হারও সর্বোচ্চ এ দেশে, রিপোর্ট খারিজ কেন্দ্রের" — আনন্দবাজার পত্রিকা, ১৩ অক্টোবর ২০২৩
- বনজত কৌর। "India Ranks 111 in Global Hunger Index; Report Makers Reject Indian Government Objections" — দ্যা ওয়ার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩ (ইংরেজি)
- "India ranks 111th on Global Hunger Index 2023; ‘erroneous measure of hunger’, says govt" — দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ১৩ অক্টোবর ২০২৩ (ইংরেজি)