Wn/bn/হায়দ্রাবাদের কানচা গাচিবাউলি বনভূমি উজাড়ে স্থগিতাদেশ ভারতের সুপ্রিম কোর্টের
শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

৩ এপ্রিল, তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অবস্থিত কানচা গাচিবাউলি অঞ্চলে বন ধ্বংসের ঘটনার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট তেলেঙ্গানা সরকারকে সব ধরণের গাছ কাটা কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করতে নির্দেশ দেয়। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর ক্ষতির আশঙ্কায় আদালত এই পদক্ষেপ নেয়। আদালতের নির্দেশ জারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্য সরকার একটি মন্ত্রিসভা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়।
তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী এ রেওয়ান্ত রেড্ডি সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ (পূর্বে টুইটার) জানিয়েছেন, এই কমিটিতে মন্ত্রী মল্লু ভট্টি বিক্রমার্কা, ডি শ্রীধর বাবু এবং পঙ্গুলেটি শ্রীনিবাস রেড্ডিকে রাখা হয়েছে। এই কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ছাত্র প্রতিনিধি, সিভিল সোসাইটি এবং অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান খুঁজবে। বিক্রমার্কা ও শ্রীধর বাবু এক যৌথ বিবৃতিতে জানান, "আমরা কানচা গাচিবাউলির জমি ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পালন করব এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দেব।"
বিতর্কের সূত্রপাত এক সপ্তাহ আগে, যখন হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংলগ্ন প্রায় ৪০০ একর জমি পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়। সেখানে বহু প্রাণীর আবাসস্থল থাকায়, ছাত্রছাত্রীরা গাছ কাটার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। ময়ূরের কান্নার একটি ভিডিও ভাইরাল হলে বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হয়। ৩ এপ্রিল, সুপ্রিম কোর্ট নিজে থেকেই বিষয়টি নিয়ে হস্তক্ষেপ করে। আদালত জানায়, পরিবেশগত প্রভাব যাচাই না করে এবং প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র ছাড়া কোনো কাজ করা যাবে না। নির্দেশ অমান্য হলে, তেলেঙ্গানার চিফ সেক্রেটারিকে ব্যক্তিগতভাবে দায়ী করা হবে বলেও সতর্ক করে আদালত।
এদিকে তেলেঙ্গানা হাইকোর্টেও এই বিষয়ে দুটি জনস্বার্থ মামলা চলছে, একটি পরিবেশ সংস্থা ভাটা ফাউন্ডেশন এবং অন্যটি হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের দায়ের করা। ৪ এপ্রিল, হাইকোর্টও জমির উপর সব ধরণের কাজ বন্ধ রাখতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বাড়িয়ে দেয় এবং আগামী ৭ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে।
উৎস
[edit | edit source]- সুচেতা সেনগুপ্ত। "ধাক্কা দিল ময়ূরের কান্না! হায়দরাবাদের বনাঞ্চল সাফাইয়ে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের" — সংবাদ প্রতিদিন, ৪ এপ্রিল, ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ: ৫ এপ্রিল, ২০২৫
- রাহুল ভি পিশারোদি। "Kancha Gachibowli protests: After SC steps in, Telangana government comes forward for dialogue with Hyderabad university students" — ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ৪ এপ্রিল, ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ: ৫ এপ্রিল, ২০২৫। (ইংরেজি)
- শ্রীনিবাস রাও আপ্পারাসু। "As Hyderabad university row spirals, scanner on Revanth Reddy government" — হিন্দুস্থান টাইমস, ৪ এপ্রিল, ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ: ৫ এপ্রিল, ২০২৫। (ইংরেজি)