Jump to content

Wn/bn/রিলসের স্বতন্ত্র অ্যাপ তৈরির কথা ভাবছে মেটা

From Wikimedia Incubator
< Wn | bn
Wn > bn > রিলসের স্বতন্ত্র অ্যাপ তৈরির কথা ভাবছে মেটা

বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ইনস্টাগ্রাম রিলসের লোগো।
চিত্র কৃতিত্ব: instagram inc।

যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত থাকায় ইনস্টাগ্রাম নতুন কৌশল গ্রহণের পরিকল্পনা করছে। প্ল্যাটফর্মটি তাদের স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিও ফিচার 'রিলস'কে আলাদা একটি অ্যাপ হিসেবে চালু করার বিষয়টি বিবেচনা করছে। প্রযুক্তি সংক্রান্ত ব্যবসা বিষয়ক প্রকাশনা দ্য ইনফরমেশন জানিয়েছে যে ইনস্টাগ্রামের প্রধান অ্যাডাম মোসেরি এই সপ্তাহে কর্মীদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করেছেন। অ্যাডামের বক্তব্য সরাসরি শুনেছেন এমন একজনের বরাত দিয়ে সংবাদটি প্রকাশ করেছে তারা।

রিপোর্ট অনুযায়ী, রিলস অ্যাপটি প্রজেক্ট রে নামে মেটার একটি নতুন উদ্যোগের অংশ। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো ইনস্টাগ্রামকে টিকটকের আরও ভালোভাবে প্রতিযোগী হিসেবে গড়ে তোলা। তাদের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে ইনস্টাগ্রামের কন্টেন্ট সুপারিশ করার পদ্ধতি উন্নত করা এবং যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীদের জন্য তিন মিনিট দীর্ঘ রিলস ভিডিও আরও বেশি আনা।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প টিকটককে ৭৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেন। এই সময়ের মধ্যে টিকটককে হয় বিক্রি হতে হবে, নয়তো নিষিদ্ধ হতে হবে। এই আইনটি আসলে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের আমলেই স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এটি করার ফলে কিছুদিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপস্টোর থেকে অ্যাপটি সরিয়ে নিয়েছিল টিকটক। তবে পরে ট্রাম্প এই সিদ্ধান্ত বাতিল করেন।

সেসময় ট্রাম্প একটি যৌথ মালিকানার সম্ভাবনার কথাও বলেছিলেন। তিনি চান, যুক্তরাষ্ট্র এবং টিকটকের চীনা মালিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের মধ্যে অর্ধা-অর্ধি অংশীদারিত্ব হোক। তবে এটি কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।

বাইডেন প্রশাসনের যুক্তি ছিল, টিকটকের ১৭ কোটি মার্কিন ব্যবহারকারী থাকায় এটি চীনের জন্য গুপ্তচরবৃত্তি ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে।

অন্যদিকে, টিকটক নিষিদ্ধ করার বিরোধীরা বলছেন, এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী এবং প্ল্যাটফর্মটি খোলা রাখা উচিত।

নতুন অ্যাপ প্রকাশের পরে রিলস ইনস্টাগ্রামের অংশ থাকবে কি না সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, মেটা ২০১৮ সালে টিকটকের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লাসো নামে একটি স্বতন্ত্র অ্যাপ চালু করেছিল। তবে অ্যাপটি জনপ্রিয়তা না পেলে ২০২০ সালে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।


উৎস

[edit | edit source]