Jump to content

Wn/bn/যুদ্ধবিরতির পরও পারস্পরিক অভিযোগে উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান, ড্রোন হামলার অভিযোগ

From Wikimedia Incubator
< Wn | bn
Wn > bn > যুদ্ধবিরতির পরও পারস্পরিক অভিযোগে উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান, ড্রোন হামলার অভিযোগ

শনিবার, ১০ মে ২০২৫

কাশ্মীর অঞ্চলের বিতর্কিত এলাকার মানচিত্র
চিত্র কৃতিত্ব: আফতাবুজ্জামান।

১০ মে, শনিবার, ভারত ও পাকিস্তান তাৎক্ষণিক ও পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় এবং সরকারিভাবে এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেয়। তবে যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘন্টার মধ্যেই উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে, ফলে সীমান্ত পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে এই যুদ্ধবিরতিকে "ঐতিহাসিক বিজয়" বলে আখ্যা দেন। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, "আমাদের প্রতিরক্ষার জন্য আমরা যেকোনো কিছু করব।" বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভোররাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করে যে তাদের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। একই সময়ে, ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে বলা হয় সীমান্ত পার্শ্ববর্তী কয়েকটি এলাকায় ড্রোন হামলা হয় এবং কিছু এলাকা অন্ধকারে ডুবে যায়।

এর আগে, যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ট্রুথ সোশ্যালে পোস্টের মাধ্যমে। তিনি জানান, রাতভর দুই দেশের সঙ্গে আলোচনা এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলেই এই চুক্তি সম্ভব হয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি পরে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলেন, সন্ধ্যা ৫টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তিনি জানান, ভারত ও পাকিস্তান স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রে সব ধরনের "গোলাগুলি ও সামরিক কার্যকলাপ" বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে। দুই পক্ষ ১২ মে আবার যোগাযোগ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দারও যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করে এক্স-এ একটি পোস্ট করেন। তিনি জানান, তুরস্ক, সৌদি আরবসহ ৩০টিরও বেশি দেশ এই কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় যুক্ত ছিল এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিওর সঙ্গে তার আলোচনা এই প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

সীমান্ত উত্তেজনার সূচনা হয় ৭ মে, বুধবার, যখন ভারত পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীর ও মূল ভূখণ্ডে "সন্ত্রাসী ঘাঁটি" বলে দাবি করা স্থানে বিমান হামলা চালায়। ভারত বলছে, "অপারেশন সিন্দুর" নামের এই হামলা ছিল দুই সপ্তাহ আগে ভারত-শাসিত কাশ্মীরে হিন্দু পর্যটকদের ওপর এক হামলার জবাব, যেখানে ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছিল। ভারত এই ঘটনার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ইসলামাবাদ তা পুরোপুরি অস্বীকার করেছে।

এই হামলার জবাবে পাকিস্তান সামরিক প্রতিক্রিয়া জানায়, যার মধ্যে ভারতীয় সামরিক স্থাপনার ওপর মিসাইল হামলাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরবর্তী চার দিন ধরে দুই দেশের মধ্যে গোলাগুলি চলতে থাকে এবং উভয় পক্ষ একে অপরের আকাশসীমায় ড্রোন অনুপ্রবেশের অভিযোগ তোলে।



উৎস

[edit | edit source]