Wn/bn/ভারত সরকার বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধীকরণের বিরোধিতা করেছে, বিদ্যমান আইন উল্লেখ করে
রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪
সম্পর্কিত শিরোনামগুলো | |
---|---|
| |
অংশগ্রহণ | |
ভারত সরকার বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধী করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের বিরোধিতা করেছে এবং এই পদক্ষেপটিকে "অত্যধিক কঠোর" ও বিবাহের জন্য সম্ভাব্য বিঘ্ন সৃষ্টিকারী বলে অভিহিত করেছে। বৃহস্পতিবার জমা দেওয়া একটি হলফনামায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক যুক্তি দিয়েছে যে একজন পুরুষের তার স্ত্রীর উপর জোরপূর্বক যৌন নির্যাতন করার কোনও মৌলিক অধিকার নেই, বিদ্যমান আইনগুলি বিবাহের মধ্যে যৌন সহিংসতা থেকে মহিলাদের রক্ষা করার জন্য যথেষ্ট।
সুপ্রিম কোর্ট বর্তমানে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ধারা ৩৭৫ সংশোধন করার লক্ষ্যে পিটিশনের শুনানি করছে, এটি ব্রিটিশ আমলের একটি আইন যা কোনও পুরুষকে তার স্ত্রীর ধর্ষণের জন্য শাস্তি থেকে অব্যাহতি দেয়। যদিও বর্তমানে বিশ্বের একশোটিরও বেশি দেশ বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধী করেছে কিন্তু ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান এবং সৌদি আরব সহ দেশগুলিতে অনুশীলনটি এখনও সম্পূর্ণ বেআইনি নয়।
এর প্রতিক্রিয়ায়, সরকার স্বীকার করেছে যে পুরুষদের তাদের স্ত্রীদের ধর্ষণের জন্য "দণ্ডনীয় পরিণতির" সম্মুখীন হতে হবে কিন্তু এরই সাথে এটাও বলেছিল যে এই আইনটিকে অপরাধীকরণ করা "দাম্পত্য সম্পর্ককে গুরুতরভাবে প্রভাবিত করতে পারে" এবং "বিবাহে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।" সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় যে গার্হস্থ্য সহিংসতা আইন (২০০৫) এই বিষয়ে মহিলাদের সুরক্ষার নিশ্চিত করে। এই আইনটি যৌন নির্যাতনকে পারিবারিক সহিংসতার একটি রূপ হিসাবে স্বীকৃতি দেয়, যদিও এটি স্পষ্টভাবে বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধী করে না।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আরও পরামর্শ দিয়েছে যে বৈবাহিক ধর্ষণের বিষয়টি আইনি থেকে বেশি সামাজিক এবং শুধুমাত্র আদালতের দ্বারা সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়।
উৎস
[edit | edit source]- সুমন বিশ্বাস। "Marital Rape: বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা অপ্রয়োজনীয়! সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের হলফনামা" — নিউজ ১৮, ৩ অক্টোবর, ২০২৪
- "বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধের আওতায় আনার দরকার নেই! সুপ্রিম কোর্টকে বলল কেন্দ্র, জানাল তিন কারণ" — আনন্দবাজার পত্রিকা, ৩ অক্টোবর, ২০২৪
- আরশাদ আর জারগার। "India's government formally opposes bid to criminalize marital rape" — সিবিএস নিউজ, ৪ অক্টোবর, ২০২৪ (ইংরেজি)