Jump to content

Wn/bn/ভারত, বাংলাদেশসহ বহু দেশের জন্য আমেরিকার শুল্ক বিরতি, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ আরও তীব্র

From Wikimedia Incubator
< Wn | bn
Wn > bn > ভারত, বাংলাদেশসহ বহু দেশের জন্য আমেরিকার শুল্ক বিরতি, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ আরও তীব্র

বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

ট্রাম্প পারস্পরিক শুল্কের একটি চার্ট দেখাচ্ছেন

বুধবার, মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত, বাংলাদেশ ও প্রায় ৬০টি দেশের জন্য নতুন শুল্কের ওপর ৯০ দিনের বিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে, গত ৭ এপ্রিল তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন যে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করা হবে, যা ৯ এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। তবে এখন এই শুল্ক কার্যকর করা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, এই অস্থায়ী বিরতির উদ্দেশ্য হলো, এই দেশগুলোর সঙ্গে আরও ন্যায্য বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনার সুযোগ করে দেওয়া। এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানিকৃত সকল পণ্যের ওপর একটি ১০ শতাংশ "নিম্ন পর্যায়ের প্রতিশোধমূলক" শুল্ক বহাল থাকবে। তবে এই ছাড় চীনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

চীনের পণ্যের ওপর আমেরিকা এখন ১২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করেছে। এর জবাবে চীনও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি হওয়া পণ্যে ৮৪ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে।

এতে করে বিশ্বের দুই সবচেয়ে বড় অর্থনীতির মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়েছে, এবং দীর্ঘমেয়াদি বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ট্রাম্প চীনের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক বসানোর কারণ হিসেবে "অসম্মানজনক আচরণ" উল্লেখ করেছেন।

মাত্র এক সপ্তাহ আগেই ট্রাম্প আমেরিকায় প্রবেশকারী সকল পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন—যা গত কয়েক দশকে বৈশ্বিক বাণিজ্য নীতির সবচেয়ে বড় পরিবর্তন বলে বিবেচিত হচ্ছে। তার এই পরিকল্পনায় ছিল আমদানি পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ মূল শুল্ক, আর কিছু দেশের জন্য আরও বেশি হার নির্ধারিত ছিল, যাদের "অন্যায্য বাণিজ্য আচরণকারী" হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই তালিকায় ছিল ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আরও অনেকে। এসব দেশের পণ্যের ওপর ১১ শতাংশ থেকে শুরু করে ১০০ শতাংশেরও বেশি হারে শুল্ক নির্ধারিত হয়েছিল। তবে এখন এসব দেশের বেশিরভাগই ৯০ দিনের শুল্ক বিরতির আওতায় পড়েছে।

উৎস

[edit | edit source]