Jump to content

Wn/bn/ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এলাহাবাদ হাইকোর্টের ধর্ষণ সম্পর্কিত একটি বিতর্কিত রায় স্থগিত করলো

From Wikimedia Incubator
< Wn | bn
Wn > bn > ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এলাহাবাদ হাইকোর্টের ধর্ষণ সম্পর্কিত একটি বিতর্কিত রায় স্থগিত করলো

বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
অপরাধ ও আইন
অপরাধ ও আইন
এই চিত্রটি পরিবর্তনশীল — রিফ্রেশ করুন!
সম্পর্কিত শিরোনামগুলো
অংশগ্রহণ
ভূমিকা    সংবাদকক্ষ    নিবন্ধ সৃষ্টিকরণ

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এলাহাবাদ হাইকোর্টের একটি রায়কে স্থগিত করেছে, যেখানে বলা হয়েছিল যে কোনও নাবালিকার বুকে হাত দেওয়া বা তার পোশাকের ডোরি খুলে ফেলা ধর্ষণের চেষ্টা হিসেবে গণ্য হবে না। শীর্ষ আদালত গত ২৫ মার্চ নিজে থেকেই এই বিষয়টি হাতে নিয়ে রায়টিকে "মর্মান্তিক" এবং "সংবেদনশীলতাহীন" বলে মন্তব্য করেছে। হাইকোর্টের এই রায়ের জেরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগকে "গুরুতর যৌন নিপীড়ন" হিসেবে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল, যা তুলনায় কম গুরুতর এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এরপর সুপ্রিম কোর্ট ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এবং উত্তর প্রদেশের রাজ্য কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে।

ঘটনার সাথে সম্পর্কিত মামলাটি হল, একজন ১১ বছরের মেয়ের মা তার মেয়েকে গ্রামেরই পরিচিত দুজনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি পাঠিয়েছিলেন। অভিযোগ, পথে গিয়ে ওই দুজন মোটরসাইকেল থামিয়ে মেয়েটির বুকে হাত দেয় এবং তার পাজামার ডোরি খুলে টানতে শুরু করে। এরপর তারা তাকে একটি কালভার্টের নিচে টেনে নিয়ে যায়। মেয়েটির চিৎকার শুনে গ্রামের কয়েকজন ছুটে এসে তাকে বাঁচায়, আর অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। গত ১৭ মার্চ হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, এই ঘটনা ধর্ষণের চেষ্টার প্রমাণ হিসেবে যথেষ্ট নয়। তাদের যুক্তি, প্রসিকিউশন দেখাতে পারেনি যে অভিযুক্তরা "প্রস্তুতি" থেকে "চেষ্টা" পর্যায়ে পৌঁছেছিল।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি.আর. গবাই এবং বিচারপতি অগাস্টিন এই রায়ের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তাদের কথায়, এই রায়ে "সম্পূর্ণ সংবেদনশীলতার অভাব" ফুটে উঠেছে। তারা আরও বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত তড়িঘড়ি নেওয়া হয়নি; বরং চার মাস ধরে বিচার-বিবেচনার পর এমন রায় দেওয়া হয়েছে।

রায় ঘোষণার পর থেকে সারা দেশে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। অনেকে এটিকে যৌন সহিংসতার প্রতি উদাসীনতা বলে ধিক্কার দিয়েছেন। আইনজ্ঞ এবং মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, এই রায় ভবিষ্যতে ভুল নজির তৈরি করতে পারে।



উৎস