Wn/bn/বিজ্ঞানীরা ১২৪ আলোকবর্ষ দূরের একটি গ্রহে জীবনের আশাব্যঞ্জক উৎস খুঁজে পেয়েছেন
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

![]() এই চিত্রটি পরিবর্তনশীল — রিফ্রেশ করুন! | |
সম্পর্কিত শিরোনামগুলো | |
---|---|
| |
অংশগ্রহণ | |
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা আশাব্যঞ্জক প্রমাণ পেয়েছেন যে কে২-১৮বি (K2-18b) নামে একটি দূরবর্তী গ্রহে জীবনের অস্তিত্ব থাকতে পারে। নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করে গবেষকরা এই গ্রহের বায়ুমণ্ডলে এমন গ্যাসের উপস্থিতি শনাক্ত করেছেন, যা পৃথিবীতে কেবল জীবন্ত প্রাণীরা উৎপন্ন করে। এর মধ্যে রয়েছে ডাইমিথাইল সালফাইড (DMS) এবং সম্ভবত ডাইমিথাইল ডাইসালফাইড (DMDS), যা সাধারণত সমুদ্রে বসবাসকারী ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটনের মতো সাধারণ জীব দ্বারা উৎপন্ন হয়।
কে২-১৮বি পৃথিবী থেকে ১২৪ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত এবং এটি পৃথিবীর তুলনায় প্রায় তিন গুণ বড়। এই গ্রহটি এমন একটি অঞ্চলে রয়েছে যেখানে তাপমাত্রা তরল জলের অস্তিত্বের জন্য উপযুক্ত হতে পারে। কেমব্রিজের ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রোনমির প্রধান গবেষক প্রফেসর নিক্কু মধুসূদন বলেন, এই গ্রহটি একটি "হাইসিয়ান বিশ্ব" হতে পারে—অর্থাৎ এটির বিশাল সমুদ্র এবং হাইড্রোজেন-সমৃদ্ধ বায়ুমণ্ডল রয়েছে।
গ্রহটি তার নক্ষত্রের সামনে দিয়ে অতিক্রম করার সময়, তার বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করা নক্ষত্রের আলো বিশ্লেষণ করে এই গ্যাসগুলো শনাক্ত করা হয়েছে। কোন রঙের আলো শোষিত হয়েছে তা বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত রাসায়নিক পদার্থের সম্ভাব্য উপস্থিতি চিহ্নিত করেছেন। এই ফলাফল ২০২৩ সালের একটি পূর্ববর্তী গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে এসেছে, যেখানে একই দল জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ-এর অন্যান্য যন্ত্র ব্যবহার করে গ্রহের বায়ুমণ্ডলে মিথেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের মতো কার্বন-ভিত্তিক অণু শনাক্ত করেছিল।
যদিও সাম্প্রতিক ফলাফলগুলো শক্তিশালী, গবেষকরা সতর্ক করে বলেছেন যে আরও তথ্যের প্রয়োজন। বর্তমান ফলাফল "থ্রি-সিগমা" স্তরের আত্মবিশ্বাসে পৌঁছেছে, যার অর্থ ফলাফলগুলো ভুল হওয়ার সম্ভাবনা মাত্র ০.৩%; কিন্তু এটি চূড়ান্ত আবিষ্কারের জন্য যথেষ্ট নয়। প্রফেসর মধুসূদন আশা প্রকাশ করেছেন যে আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে আরও শক্তিশালী প্রমাণ পাওয়া যাবে।
উৎস
- "পৃথিবী থেকে ১২৪ আলোকবর্ষ দূরে প্রাণের অস্তিত্বের ‘শক্তিশালী’ প্রমাণ পেলেন বিজ্ঞানীরা" — আজকের পত্রিকা, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ: ১৮ এপ্রিল, ২০২৫
- পল্লব ঘোষ। "Scientists find 'strongest evidence yet' of life on distant planet" — বিবিসি, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ: ১৮ এপ্রিল, ২০২৫। (ইংরেজি)
- সিওন গেশউইন্ড্ট। "How a space telescope found the ‘strongest evidence yet’ of life beyond our solar system" — দ্যা নেক্সট ওয়েব, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ: ১৮ এপ্রিল, ২০২৫। (ইংরেজি)