Wn/bn/বাংলাদেশে ২২ ডিসি ও এক যুগ্মসচিব বাধ্যতামূলক অবসরে
বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
![]() | |
সম্পর্কিত শিরোনামগুলো | |
---|---|
| |
অংশগ্রহণ | |
![]() |
বাংলাদেশ সরকার তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা ২২ জন জেলা প্রশাসককে (ডিসি) বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জনপ্রশাসন সচিব মোখলেস উর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, "জনগণের স্বার্থে সরকার কঠোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এবং তা বাস্তবায়ন করছে।"
অবসরে পাঠানোদের পদবী
এই ২২ জনের মধ্যে ৪ জন ২০১৪ সালের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়া, ৩ জন সচিব, ১৭ জন অতিরিক্ত সচিব, ১ জন যুগ্ম সচিব এবং ১ জন উপসচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
জনপ্রশাসন সচিব মোখলেস উর রহমান আরও জানান, "অনেক আগের নির্বাচন হওয়ায় এখন মাত্র ৪ জন রয়ে গেছেন, বাকিরা ইতোমধ্যে অবসরে গেছেন। তবে এদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে।"
তদন্ত ও আইনি ব্যবস্থা
তিনি বলেন, "এদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলাও করছে। অবসরে যাওয়া মানেই দায়মুক্তি নয়। সরকার জনস্বার্থে কঠোর অবস্থানে রয়েছে।"
তিনি আরও জানান, "যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অতিরিক্ত ক্ষমতার অপব্যবহার বা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে চাকরিবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
সাম্প্রতিক নির্বাচন ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ
২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের তালিকা ইতোমধ্যে গোয়েন্দা সংস্থার কাছে পাঠানো হয়েছে। সরকার এই তালিকা পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চাকরির মেয়াদ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যাদের চাকরির মেয়াদ ২৫ বছরের কম, তারা বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে নিযুক্ত হবেন, আর যাদের চাকরির মেয়াদ ২৫ বছরের বেশি, তারা বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হবে।
এর আগে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা ৩৩ জন জেলা প্রশাসককে ওএসডি করা হয়েছিল।
পূর্বের নির্বাচন ও বিতর্ক
২০১৪ ও ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচন বিএনপি-জামায়াত জোট বর্জন করেছিল। তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনে তারা অংশ নিলেও ভোটের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।
নির্বাচনী অনিয়ম তদন্তের অংশ হিসেবে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন সম্প্রতি ৩০ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার জানান, "কর্মকর্তারা বলেছেন যে তারা অনেক ক্ষেত্রেই সিদ্ধান্ত গ্রহণে অসহায় ছিলেন এবং প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ অন্য জায়গা থেকে করা হয়েছিল।"
তিনি আরও বলেন যে, "অনেক নিচের পর্যায়ের কর্মকর্তারা তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দায়ী করেছেন এবং বলেছেন যে দেশটি কার্যত একটি ‘পুলিশি রাষ্ট্র’-এ পরিণত হয়েছিল।"
উৎস
- "তিন নির্বাচনের ‘২২ ডিসি’ বাধ্যতামূলক অবসরে" — বিডিনিউজ, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- "বিগত তিন নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা ডিসিদের ২২ জন বাধ্যতামূলক অবসরে, অন্যদের ওএসডির সিদ্ধান্ত" — প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ: ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫