Jump to content

Wn/bn/তীব্র খরার কারণে এবছর ঈদুল আজহায় ভেড়া কুরবানী নিরুৎসাহিত করছে মরক্কো

From Wikimedia Incubator
< Wn | bn
Wn > bn > তীব্র খরার কারণে এবছর ঈদুল আজহায় ভেড়া কুরবানী নিরুৎসাহিত করছে মরক্কো

শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫

মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ
চিত্র কৃতিত্ব: Pool Moncloa/Borja Puig de la Bellacasa।

মরক্কোর রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ দেশব্যাপী চলমান খরার প্রেক্ষাপটে এই বছর ঈদুল আজহায় ভেড়া কুরবানী না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার এক ঘোষণায় তিনি বলেন, টানা বহু বছরের খরার কারণে দেশটিতে ভেড়ার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে, যা মাংসের মূল্যবৃদ্ধি ও পশুসম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনার জন্য বড় সমস্যা সৃষ্টি করেছে।

আগামী জুন মাসে পালিত হবে ঈদুল আজহা, যা মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। হজরত ইবরাহিম (আ.) আল্লাহর জন্য নিজ সন্তানকে কুরবানী দিতে প্রস্তুত ছিলেন—এই ঈদের দিনে এই ঘটনা স্মরণ করা হয়। সাধারণত মুসলিমরা ভেড়া বা ছাগল বা গরু কুরবানী করে এবং এর মাংস পরিবার ও দরিদ্রদের সাথে ভাগ করে নেয়।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মরক্কোতে গত নয় বছরে ভেড়া ও গবাদিপশুর সংখ্যা ৩৮ শতাংশ কমে গেছে, যার মূল কারণ দীর্ঘমেয়াদী খরা।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদের পক্ষ থেকে পাঠ করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, তিনি মরক্কোর জনগণের ধর্মীয় ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান জানালেও, দেশের জলবায়ু ও অর্থনৈতিক অবস্থাও বিবেচনায় নেওয়া জরুরি। গবাদিপশুর সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য কুরবানীর প্রচলিত রীতি পালন করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

এ বছর বৃষ্টিপাত গত ৩০ বছরের গড়ের তুলনায় ৫৩ শতাংশ কম হয়েছে। ফলে চারণভূমির অভাব দেখা দিয়েছে, যা মাংস উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এর ফলে মাংসের দাম বেড়েছে এবং দেশটিকে আরও বেশি পরিমাণে জীবিত পশু ও মাংস আমদানি করতে হচ্ছে।

এই সংকট মোকাবিলায় ২০ ফেব্রুয়ারি, মরক্কো অস্ট্রেলিয়া থেকে এক লক্ষ ভেড়া আমদানির চুক্তি করেছে। এর আগেও দেশটি ব্রাজিল আও উরুগুয়ে থেকে পশু আমদানি করেছে। এছাড়া, ২০২৫ সালের বাজেটে গরু, ভেড়া, উট এবং মাংস আমদানির উপর শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে যেন বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখা যায়।

মরক্কোতে দীর্ঘস্থায়ী খরা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মুদ্রাস্ফীতিকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। ফলে দেশজুড়ে, বিশেষ করে উত্তর আফ্রিকার অনেক অঞ্চলে, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। ফলে, মরক্কোতে জনপ্রিয় দেশি ভেড়ার দাম কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুরো একটি পরিবারের মাসিক আয়কে ছাড়িয়ে গেছে।


উৎস

[edit | edit source]