Jump to content

Wn/bn/জার্মানির কেন্দ্রীয় নির্বাচনে রক্ষণশীল দল জিতেছে, তবে সরকার গঠনের জন্য জোট দরকার

From Wikimedia Incubator
< Wn | bn
Wn > bn > জার্মানির কেন্দ্রীয় নির্বাচনে রক্ষণশীল দল জিতেছে, তবে সরকার গঠনের জন্য জোট দরকার

সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বাম দিকে: রক্ষণশীল দলের নেতা ফ্রিডরিখ মের্ৎসে। ডান দিকে: বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধান ওলাফ শলৎস, সমাজতান্ত্রিক দল।
চিত্র কৃতিত্ব: Steffen Prößdorf/ Vlada Republike Slovenije ।

জার্মানিতে ২৩ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সংসদের (বুন্ডেসটাগ) ৬৩০টি আসনের জন্য ভোট হয়। ফ্রিডরিখ মের্ৎসের নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল দল সবচেয়ে বেশি আসন জিতলেও, ৩০% ভোট পাওয়ার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। ডানপন্থী দল অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) তাদের ইতিহাসের সেরা ফলাফল করে ২০.৮% ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। জার্মানির বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধান ওলাফ শলৎসের সমাজতান্ত্রিক দল (এসপিডি) তাদের সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করেছে, মোট ১৬% ভোট লাভ করে।

২০২৫ সালের জার্মান নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি হার

  রক্ষণশীল দল (২৮.৫%)
  ডানপন্থী দল অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (২০.৮%)
  সমাজতান্ত্রিক দল (এসপিডি) (১৬.৪%)
  গ্রিনস পার্টি (১১.৬%)
  বামপন্থী দল (৮.৮%)
  অন্যান্য (১৩.৯%)

মের্ৎসের রক্ষণশীল দল এককভাবে সরকার গঠনের জন্য পর্যাপ্ত আসন পায়নি, তাই তদের অন্য দলগুলোর সঙ্গে জোট বাঁধতে হবে। তিনি সমাজতান্ত্রিক দলের সঙ্গে কাজ করতে চান, যদিও তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল। ৬৯ বছর বয়সী মের্ৎস আগে কখনো মন্ত্রী ছিলেন না, তবে তিনি বলেছেন, তিনি ইউরোপকে শক্তিশালী নেতৃত্ব দেবেন এবং ইউক্রেনকে আরও সাহায্য করবেন

ডানপন্থী দল এএফড, ইতিহাসের সেরা ফলাফল করলেও তারা আরও বেশি ভোট পাওয়ার আশা করেছিল। দলের প্রধান অ্যালিস ওয়েইডেল সমর্থকদের নিয়ে উদযাপন করলেও স্বীকার করেছেন, প্রত্যাশার চেয়ে কম ভোট পাওয়ায় অনেকে হতাশ।

২০২৫ সালের জার্মান ফেডারেল নির্বাচনের ফলাফল মানচিত্র।

জার্মানির ভোট দেওয়ার নিয়ম কিছুটা ভিন্ন। প্রতিটি ভোটার দুটি ভোট দেয়: একটি স্থানীয় প্রার্থীকে এবং আরেকটি রাজনৈতিক দলকে। এতে সংসদে দলগুলোর আসন সংখ্যা নির্ধারিত হয়। সাধারণত, কোনো দল সংসদে আসন পেতে হলে অন্তত ৫% ভোট পেতে হয়, তবে একটি বিশেষ নিয়ম আছে, যদি কোনো দল তিনটি স্থানীয় আসন জিতে তবে তারা ৫% কম পেলেও সংসদে প্রবেশ করতে পারে।

এবারের ফলাফলে বিভিন্ন অঞ্চলে ভোটের বড় পার্থক্য দেখা গেছে। এএফডি পশ্চিমাঞ্চলে অনেক ভোট পেলেও, কিছু জায়গায় এসপিডি স্থানীয় আসনে জয় পেয়েছে। বাভারিয়ায়, মের্ৎসের দলের অংশীদার, রাজ্যের সব আসন জিতেছে।

এই নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জার্মানির সম্পর্ক বড় বিষয় ছিল। অনেক জার্মান হতাশ ছিলেন যে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন ও ইউরোপকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন না। মের্ৎস বলেছেন, ট্রাম্পের আচরণ প্রমাণ করে যে আমেরিকা ইউরোপের ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশি চিন্তিত নয়। ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে "একজন স্বৈরশাসক" বলেছিলেন, এবং এএফডি দলকে সমর্থন করেছিলেন, যা বিতর্ক সৃষ্টি করে।



উৎস

[edit | edit source]