Wn/bn/জার্মানির কেন্দ্রীয় নির্বাচনে রক্ষণশীল দল জিতেছে, তবে সরকার গঠনের জন্য জোট দরকার
সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
জার্মানিতে ২৩ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সংসদের (বুন্ডেসটাগ) ৬৩০টি আসনের জন্য ভোট হয়। ফ্রিডরিখ মের্ৎসের নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল দল সবচেয়ে বেশি আসন জিতলেও, ৩০% ভোট পাওয়ার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। ডানপন্থী দল অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) তাদের ইতিহাসের সেরা ফলাফল করে ২০.৮% ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। জার্মানির বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধান ওলাফ শলৎসের সমাজতান্ত্রিক দল (এসপিডি) তাদের সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করেছে, মোট ১৬% ভোট লাভ করে।
২০২৫ সালের জার্মান নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি হার
মের্ৎসের রক্ষণশীল দল এককভাবে সরকার গঠনের জন্য পর্যাপ্ত আসন পায়নি, তাই তদের অন্য দলগুলোর সঙ্গে জোট বাঁধতে হবে। তিনি সমাজতান্ত্রিক দলের সঙ্গে কাজ করতে চান, যদিও তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল। ৬৯ বছর বয়সী মের্ৎস আগে কখনো মন্ত্রী ছিলেন না, তবে তিনি বলেছেন, তিনি ইউরোপকে শক্তিশালী নেতৃত্ব দেবেন এবং ইউক্রেনকে আরও সাহায্য করবেন।
ডানপন্থী দল এএফড, ইতিহাসের সেরা ফলাফল করলেও তারা আরও বেশি ভোট পাওয়ার আশা করেছিল। দলের প্রধান অ্যালিস ওয়েইডেল সমর্থকদের নিয়ে উদযাপন করলেও স্বীকার করেছেন, প্রত্যাশার চেয়ে কম ভোট পাওয়ায় অনেকে হতাশ।

জার্মানির ভোট দেওয়ার নিয়ম কিছুটা ভিন্ন। প্রতিটি ভোটার দুটি ভোট দেয়: একটি স্থানীয় প্রার্থীকে এবং আরেকটি রাজনৈতিক দলকে। এতে সংসদে দলগুলোর আসন সংখ্যা নির্ধারিত হয়। সাধারণত, কোনো দল সংসদে আসন পেতে হলে অন্তত ৫% ভোট পেতে হয়, তবে একটি বিশেষ নিয়ম আছে, যদি কোনো দল তিনটি স্থানীয় আসন জিতে তবে তারা ৫% কম পেলেও সংসদে প্রবেশ করতে পারে।
এবারের ফলাফলে বিভিন্ন অঞ্চলে ভোটের বড় পার্থক্য দেখা গেছে। এএফডি পশ্চিমাঞ্চলে অনেক ভোট পেলেও, কিছু জায়গায় এসপিডি স্থানীয় আসনে জয় পেয়েছে। বাভারিয়ায়, মের্ৎসের দলের অংশীদার, রাজ্যের সব আসন জিতেছে।
এই নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জার্মানির সম্পর্ক বড় বিষয় ছিল। অনেক জার্মান হতাশ ছিলেন যে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন ও ইউরোপকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন না। মের্ৎস বলেছেন, ট্রাম্পের আচরণ প্রমাণ করে যে আমেরিকা ইউরোপের ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশি চিন্তিত নয়। ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে "একজন স্বৈরশাসক" বলেছিলেন, এবং এএফডি দলকে সমর্থন করেছিলেন, যা বিতর্ক সৃষ্টি করে।
উৎস
[edit | edit source]- "উন্মাদ ও চরমপন্থীদের আখড়ায় শুধু তাঁকেই ‘পরিপক্ব মনে হয়’" — আনন্দবাজার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ: ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
- ক্রিস্টিন জিয়ের, জিয়ানা-ক্যারিনা গ্রুন। "German election results explained in graphics" — ডয়চে ভেলে, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ: ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫। (ইংরেজি)
- পল কিরবি। "Germany's conservatives celebrate, but far right enjoy record result" — বিবিসি, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ: ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫। (ইংরেজি)