Jump to content

Wn/bn/কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৫ উপস্থাপন করলেন ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন

From Wikimedia Incubator
< Wn | bn
Wn > bn > কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৫ উপস্থাপন করলেন ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন

রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন
চিত্র কৃতিত্ব: অর্থ মন্ত্রক (ভারত)।
ভারত
ভারত
সম্পর্কিত শিরোনামগুলো
অংশগ্রহণ
ভূমিকা  •  সংবাদকক্ষ  •  নিবন্ধ সৃষ্টিকরণ
ভারত
ভারত

ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৫ উপস্থাপন করেছেন। বাজেটে আয়কর পরিবর্তন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য সহায়তা, অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ, এবং ব্যবসার নিয়ন্ত্রক সংস্কার সংক্রান্ত পরিকল্পনা রয়েছে। বাজেটের বিভিন্ন উদ্যোগ কেন্দ্রের আত্মনির্ভর ভারত লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

বাজেটে আয়কর রিবেট সীমা ₹৭ লাখ থেকে ₹১২ লাখ প্রতি বছর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে, যার ফলে ₹১২ লাখ পর্যন্ত বার্ষিক আয় থাকলে কর দিতে হবে না। এছাড়া, ৩০% সর্বোচ্চ করহার এখন ₹২৪ লাখ বা তার বেশি আয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।

ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, "বাজেটে আয়কর ছাড়ের সিন্ধান্ত সত্ত্বেও এটি মধ্যবিত্তদের করের চাপ যথেষ্ট কমাতে পারেনি"। মধ্যবিত্ত শ্রেণি জিএসটি এর মতো পরোক্ষ করের ভারে রয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এইধরনের পরোক্ষ কর ছাড় না থাকায় এটি বাজেটের একটি গুরুত্বপূর্ণ দুর্বলতাও হতে পারে।

বাজেটে অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যার মধ্যে রাস্তা, বন্দর ও রেল প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত। এই অর্থবছরের জন্য ₹১১.২ ট্রিলিয়ন বরাদ্দ করা হয়েছে, যা গত বছরের ₹১১.১ ট্রিলিয়নের তুলনায় কিছুটা বেশি। তবে, সরকার গত অর্থবছরের জন্য নির্ধারিত মূলধনী ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ₹১ লাখ কোটি টাকা পূরণ করতে সক্ষম হয়নি। বিবিসির একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২০ সাল থেকে অবকাঠামো খাতে সরকারি বিনিয়োগ দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে, কিন্তু গত অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে এইক্ষেত্রে ব্যয় প্রত্যাশার তুলনায় কম ছিল।

সংবাদমাধ্যমের সাথে একটি সাক্ষাৎকারে মূলধন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, "মূলধন ব্যয়ে সরকারি ব্যয় কমানো হয়নি। যে সরকারি মূলধনী ব্যয় আমাদেরকে টিকিয়ে রেখেছে, তার গুণক প্রভাবের উপর আমরা জোর দিয়ে যাচ্ছি। আমরা এটি চালিয়ে যাচ্ছি, এবং এই সবের সাথে আমাদের আর্থিক বিচক্ষণতা বজায় রাখা হয়েছে।"

ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প খাত, যা ভারতের মোট উৎপাদনের ৩৫% অবদান রাখে, তাদের জন্য আগামী পাঁচ বছরে ₹১.৫ ট্রিলিয়ন আর্থিক সহায়তা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই সহায়তার লক্ষ্য চাকরি সৃষ্টি ও ব্যবসার সম্প্রসারণ।

সরকার প্রযুক্তি প্রকল্পগুলোর জন্য ₹১৮,০০০ কোটি বরাদ্দ করেছে, যা গত বছরের তুলনায় ৮৪% বেশি, এর মধ্যে ₹২,০০০ কোটি ভারত এআই মিশনের জন্য নির্ধারিত। ভারত এআই মিশন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং কম্পিউটিং অবকাঠামো সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনা করে। মেডিকেল শিক্ষার ক্ষেত্রে, চলতি বছরে ১০,০০০ নতুন আসন যুক্ত করা হবে, এবং পাঁচ বছরে এই সংখ্যা ৭৫,০০০ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।



আরও পড়ুন

[edit | edit source]

উৎস

[edit | edit source]