Jump to content

Wn/bn/ইরাকে ধূলিঝড়ে হাজারের বেশি মানুষ অসুস্থ, বিমান চলাচল ব্যাহত

From Wikimedia Incubator
< Wn | bn
Wn > bn > ইরাকে ধূলিঝড়ে হাজারের বেশি মানুষ অসুস্থ, বিমান চলাচল ব্যাহত

মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

ইরাকের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইরাকের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে একটি ধূলিঝড় বয়ে যাওয়ার পর এক হাজারের বেশি মানুষ শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় পড়েছেন।

মুথান্না প্রদেশের একজন কর্মকর্তা এএফপি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, সেখানে কমপক্ষে ৭০০ জন তীব্র শ্বাসকষ্টে ভুগছেন।

ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, এলাকাগুলো ঘন কমলা ধোঁয়াশায় ঢেকে গেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি অঞ্চলে বিদ্যুৎ চলে গেছে এবং বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ইরাকে প্রায়ই ধূলিঝড় হয়ে থাকে। তবে কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এখন তা আরও ঘন ঘন হচ্ছে।

এএফপি জানিয়েছে, ধূলি থেকে বাঁচতে পথচারী ও পুলিশ সদস্যরা মাস্ক পরেছিলেন। যাদের শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল, তাদের সাহায্য করার জন্য ঘটনাস্থলে প্যারামেডিকরাও ছিলেন।

স্থানীয় একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দক্ষিণ ইরাকের মুথান্না প্রদেশের হাসপাতালগুলোতে তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে কমপক্ষে ৭০০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।

নাজাফ প্রদেশে ২৫০ জনের বেশি মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া, দিওয়ানিয়াহ প্রদেশে শিশুসহ কমপক্ষে ৩২২ জন রোগীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধি কার এবং বসরা প্রদেশে আরও ৫৩০ জন শ্বাসকষ্টের কথা জানিয়েছেন।

ধূলিঝড়ের কারণে ইরাকের দক্ষিণের প্রদেশগুলো কমলা ধূলির চাদরে ঢেকে গিয়েছিল এবং দৃষ্টির পরিসীমা এক কিলোমিটারেরও নিচে নেমে এসেছিল। এর ফলে কর্তৃপক্ষ নাজাফ ও বসরা প্রদেশের বিমানবন্দরগুলো বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়।

স্থানীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল নাগাদ পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পাঁচটি দেশের মধ্যে ইরাক অন্যতম। দেশটিতে নিয়মিত ধূলিঝড় হয়, প্রচণ্ড গরম পড়ে এবং পানির অভাব দেখা দেয়।

২০২২ সালে এরকমই এক মারাত্মক ধূলিঝড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছিল এবং ৫,০০০ জনেরও বেশি মানুষকে শ্বাসকষ্টের জন্য চিকিৎসা নিতে হয়েছিল।


উৎস

[edit | edit source]